বিশ্বে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমার পর গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে আবারও করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত উভয়টি বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৩৬৩ জন। যা এর আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে প্রায় ৮০০ জন বেশি। বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৩ জনে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৯ জন। আগের এই সময়ের চেয়ে যা ১৬ হাজারের বেশি। মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ১০ লাখ দুই হাজার ৮৩৬ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে মারা গেছেন এক হাজার ১৯০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৪০০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৪৮ হাজার চারজনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৬৮ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত চার কোটি ৭৪ লাখ ১৭ হাজার ৭৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সাত লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৪ জন মারা গেছেন।

ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৩৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ নয় হাজার ৬০২ জনের।

আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৮৪১ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত তিন কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৫ জন এবং মারা গেছেন চার লাখ ৬১ হাজার ৩৪৭ জন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে ১৪০ জন, তুরস্কে ১৮৭ জন, ইউক্রেনে ৪৭৩ জন এবং ফিলিপাইনে ৯১ জন মারা গেছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি শনাক্ত হতে থাকে দেশে। ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.