তুরস্কে কলা খাওয়ার ভিডিও করে আটক ৭ শরণার্থী বহিষ্কার হচ্ছে

তুরস্কে কলা খাওয়ার ভিডিও প্রকাশ করার অভিযোগে সিরিয়ার সাত শরণার্থীকে আটক করা হয়েছে এবং তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে বলে আঙ্কারা ঘোষণা করেছে। খবর- পার্সটুডের

তুরস্কের অভিবাসন অধিদপ্তর বলেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তুর্কি জনগণের মধ্যে ‘প্রচণ্ড ক্ষোভ’ তৈরি হয়েছে; কারণ, তুরস্কের মুদ্রার মান পড়ে যাওয়ায় জনগণ যে তীব্র অর্থনৈতিক চাপে পড়েছেন তাকে বিদ্রূপ করার উদ্দেশ্যে ওই ভিডিও ছড়ানো হয়েছে।

ওই অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করেছে, আটক সাত শরণার্থীকে সিরিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে। লিরার মুদ্রামানের পতন ও তীব্র মূল্যস্ফীতির কারণে তুরস্কের জনগণের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচণ্ড শরণার্থী-বিরোধী জনমত গড়ে উঠেছে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, তার দেশে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ শরণার্থী বসবাস করছে যাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছে।

শরণার্থীদের কলা খাওয়ার ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তুরস্কে কলার চাষ হয় না বরং দেশটির জনগণকে বিদেশ থেকে আমদানি করা এই ফল চড়া দামে কিনে খেতে হয়।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন সিরীয় শরণার্থী তরুণী কলা খাচ্ছেন এবং তার প্রতি রাগ ঝাড়ছেন একজন তুর্কি নাগরিক। তিনি সিরীয় তরুণীকে যা বলছেন তার অর্থ হচ্ছে- তারা শরণার্থী হয়েও তুরস্কের নাগরিকদের চেয়ে কেন ভালো খাচ্ছেন এবং ভালো থাকছেন! ওই তুর্কি নাগরিক বলছেন, আমি কলা খেতে পারছি না অথচ তুমি কয়েক কেজি কলা একসঙ্গে কিনে খাচ্ছো?

এই ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর সিরীয় শরণার্থীদের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে এবং তাদের কেউ কেউ কলা খাওয়ার দৃশ্য ভিডিও করে ও ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করতে থাকে। সিরীয় শরণার্থীদের তোলা এসব ভিডিও গত ১৭ অক্টোবর আপলোড করা হয়।

এই ঘটনার প্রায় দুই মাস আগে রাজধানী আঙ্কারার একটি সড়কে একজন সিরীয় শরণার্থীর সঙ্গে একজন তুর্কি যুবকের কথা কাটাকাটির জের ধরে শরণার্থীদের কয়েকটি দোকান লুটপাট করে তুর্কি নাগরিকরা।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.