ফেতনা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

ফেতনা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আনজুমানে রহমানিয়ার মইনীয়া মাইজভাণ্ডারিয়ার মহাসমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাইজভান্ডারি দরবার শরিফের প্রধান মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকার ১২ রবিউল আওয়াল সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। সারাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ইসলামের মূল মর্মবাণী হচ্ছে মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ত্ব বোধ সৃষ্টি করা, সম্প্রতি সৃষ্টি করা। ইসলামের মূল মর্মবাণী যারা ধারণ করে তারা কখনও জঙ্গি হয় না, হানাহানিতে লিপ্ত হয় না, অন্য কারও ওপর হামলা করে না। মহানবী (সা.) অন্য কারও ওপর আক্রমণ করার শিক্ষা দেননি। আজকে ইসলামের মূল মর্মবাণী থেকে সরে গিয়ে অনেকে ভুল ব্যাখ্যা দেয়, আমাদের তরুণদের বিপদগামী করে। যারা ফেতনা সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা ইসলামের কথা বলে হানাহানি করে তারা ফেতনা সৃষ্টিকারী। যারা অন্য ধর্মালম্বীদের ওপর হামলা করে তারাও ফেতনা সৃষ্টিকারী। বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষ ইরাক থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য এসেছিলেন। আমাদের স্বাধীনতার জন্য মুসলামনের সঙ্গে হিন্দু, বোদ্ধ, খিস্ট্রানরাও যুদ্ধ করেছেন। এ দেশ সবার।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সমগ্র পৃথিবীতে মুসলমান ভাইদের ওপর নানা জায়গায় নির্যাতন হচ্ছে, হামলা হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আরব বিশ্ব এক থাকলে এই সাহস ইসরাইয়েল পেত না। মিয়ানমার থেকে ১২ লাখ মুসলমানকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এরপর ওআইসির অনেক দিন সময় লেগেছে একটি বৈঠক করতে। এটি মুসলিম উম্মার জন্য লজ্জার। পরে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ওআইসির সভা হয়েছে।’

সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমদের সজাক থাকতে হবে। কেউ যেন আমাদের ধর্মের নামে এমন কিছু করতে না পারে, যাতে আমাদের লজ্জিত হতে হয়। ইসলাম ধর্ম মানবিক, এটা আমাদের আচার-আচরণ দিয়ে প্রকাশ করতে হবে।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.