সাগর উত্তাল, সেন্টমার্টিনে আটকা ৩০০ পর্যটক

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় ৩শ পর্যটক আটকা পড়েছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের সেখানে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসেন। কিন্তু গত বর্ষায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দ্বীপের একমাত্র জেটিটির বিভিন্ন অংশ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ফলে এখন জেটিটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায়ও কিছু কিছু পর্যটক ভ্রমণে চলে আসছেন। জরুরিভিত্তিতে জেটিটি সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। আটকা পড়াপর্যটকরা ভালো আছেন, তাদের খোঁজ-খবর আমরা নিচ্ছি বলেও জানান তিনি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, আটকাপড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। তারা নিরাপদে আছেন। বৈরী আবাহাওয়া কেটে গেলে সবাইকে ফেরত আনা হবে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিব খান জানান, এসব পর্যটকেরা শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সেন্টমার্টিন বেড়াতে আসেন। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে এ বছর এখনও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু না হলেও কাটের ট্রলার ও স্পিডবোটে করে কিছু কিছু পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে প্রবালদ্বীপ ভ্রমণে আসছেন। এভাবে শুক্রবার তিন থেকে সাড়ে ৩শ পর্যটক সেন্টমার্টিন আসে। কিন্তু এর পরই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ায় ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩শ পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েন। কারণ দ্বীপে ওঠার একমাত্র জেটিটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। যে কারণে, পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও এখনও বড় জাহাজ চলাচল শুরু করা যায়নি।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এখানকার জেটিটি এতটা ঝুঁকিপূর্ণ যে, তাতে পা দেওয়ার মতও জায়গা নেই। শুধুমাত্র এক-দুই ফুট জায়গা আছে, সেখানে পা দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পর্যটকেরা জেটিতে উঠছেন। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.