ইন্টারপোলের মাধ্যমে রিং আইডির মালিককে দেশে আনা হবে

আলোচিত রিং আইডির মালিক কানাডা প্রবাসী শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলামকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সাইবার টিমের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, রিং আইডির প্রায় ২শ’ কোটি টাকা সিআইডির অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করেছে। তবে রিং আইডির হাতিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ আরও অনেক। সেই টাকা কোথায় জমা আছে তা এখনো জানা যায়নি।

সিআইডির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, রিং আইডির মালিক শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলাম কানাডায় অবস্থান করছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে।

গত রোববার বিকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রাম এলাকা থেকে রিং আইডির অন্যতম এজেন্ট রেদোয়ান রহমানকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

জিজ্ঞাসাবাদে সে সিআইডিকে জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে রিং আইডির ইউজার হিসাবে কাজ শুরু করে। গত ৭-৮ মাস আগে সে রিং আইডির এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ পায়। তখন থেকে ৬ শতাধিক আইডি বিক্রি করে সে ১ কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, প্রতিটি সিলভার আইডি ১২ হাজার টাকা, গোল্ড আইডি ২২ হাজার টাকা, প্রবাসী গোল্ড আইডি ২৫ হাজার টাকা, প্রবাসী প্লাটিনাম আইডি বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে।

বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের মতো তারাও অস্বাভাবিক ডিসকাউন্টে বিভিন্ন গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।

উল্লেখ্য, শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলাম এর আগেও বিটিআরসির অভিযোগে ২০১৬ সালে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। মাস খানেক জেলে থাকার পর তারা জামিনে বের হয়ে আসেন।

সিআইডির কর্মকর্তারা বলেন, রিং আইডি কয়েক ধাপে জালিয়াতি করছিল। বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করত রিং আইডি। ওই বিজ্ঞাপন দেখলে গ্রাহকেরা টাকা পাবেন এই প্রলোভন দেখিয়েছিলেন তারা। প্রথম দিকে টাকা দিলেও পরে আর গ্রাহকদের টাকা দেওয়া হয়নি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.