সাকিবের ফেরার ম্যাচে কলকাতার জয়

১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে থাকলেও প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এমন সমীকরণের দিনে দুর্দান্ত বোলিংয়ে হায়দরাবাদকে মাত্র ১১৫ রানে আটকে দেয় কলকাতার বোলাররা।

সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুভমান গিলের হাফ সেঞ্চু্রি ও নীতিশ রানার দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটের জয় পায় কলকাতা। সহজ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করল দলটি। এদিকে কলকাতার হয়ে ফেরার ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব আল হাসান। ৪ ওভার বোলিং করে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। এ ছাড়া দূর্দান্ত থ্রোতে একটি রান আউটও করেছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে খানিকটা সাবধানী শুরু করে কলকাতা। দেখেশুনে খেললেও ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসে উইকেট হারাতে হয় তাঁদের। জেসন হোল্ডারের বলে তুলে মারতে গিয়ে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার।

১৪ বলে ৮ রান করার দিনে কোন বাউন্ডারির দেখা পাননি বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনে নেমে থিতু হতে পারেননি রাহুল ত্রিপাঠিও। রশিদ খানের বলে অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন ৬ বলে ৭ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৩৮ রানে ২ উইকেট হারানো কলকাতার বিপর্যয় সামাল দেন গিল ও নীতিশ।

উইকেট না হারালেও দ্রুতগতিতে রান তুলতে বেগ পেতে হচ্ছিলো তাঁদের দুজনের। তবে সেই খোলস থেকে বেড়িয়ে আসতে থাকেন গিল। হোল্ডার ও উমরান মালিকের ওভারে দারুণ ব্যাটিং করে কলকাতার ব্যবধান কমান তরুণ এই ওপেনার। মালিকের বলে চার মেরে আইপিএলের অষ্টম হাফ।সেঞ্চুরি তুলে নেন গিল।

৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া গিল শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরেন ৫ দবলে ৫৭ রান করে। ইনিংসটি খেলতে ১০টি চার মেরেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। গিলকে সঙ্গ দেয়া নীতিশ ফেরেন ৩৩ বলে ২৫ রান করে। হোল্ডারের বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

পাঁচে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেন দীনেশ কার্তিক। সিদ্ধার্থ কৌলের বলে চার মেরে ২ বল বাকি থাকতে কলকাতার ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত কার্তিক ১৮ রান এবং ইয়ন মরগান অপরাজিত ছিলেন ২ রানে। হায়দরাবাদের হয়ে হোল্ডার দুটি, রশিদ ও কৌল নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি হায়দরাবাদ। ইনিংসের প্রথম ওভারে টিম সাউদির বলে সাজঘরে ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা। ভালো করতে পারেননি জেসন রয়ও। তবে ১৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর হায়দরাবাদের হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইলিয়ামসন।

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। সেই ওভারের পঞ্চম বলে দ্রুত গতিতে রান নিতে গেলে দুর্দান্ত থ্রোতে ২৬ রান করা উইলিয়ামসনকে রান আউট করেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। নিজের প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়েছেন সাকিব।

প্রথম দুই ওভারে দারুণ বোলিং করলেও উইকেটশূন্য ছিলেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার। তবে নিজের তৃতীয় ওভারে এসে অভিষেক শর্মাকে ফিরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর্বে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে স্টেপ আউট করে খেলতে এসে আউট হয়েছেন অভিষেক। এরপর বরুণ-সুনীল নারিন ও সাউদিরা হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে।

মাঝের দিকে প্রিয়াম গার্গ ও আব্দুল সামাদ মিলে দলের সংগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। হায়দরাবাদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান এসেছে সামাদের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া গার্গ করেছেন ২১ রান। কলকাতার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মাভি, সাউদি ও বরুণ।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.