২১ অক্টোবর খুলছে জাবির আবাসিক হল

করোনা মহমারির কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সব আবাসিক হল আগামী ২১ অক্টোবর থেকে খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষা পর্ষদ। তবে হলে উঠতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে করোনা ভাইরাসের অন্তত এক ডোজ টিকা নিতে হবে। একইসঙ্গে মানতে হবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে একাডেমিক সভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য জাবির প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ একাধিক সদস্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক সোহেল আহমেদ জানান, দুর্গাপূজার ছুটি শেষে ২১ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। তবে হলে ওঠার জন্য শিক্ষার্থীদের অন্তত করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করতে হবে। গণরুম সংকট নিরসনের জন্য প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আপাতত হলে উঠতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাডেমিক কাউন্সিল।

একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা আরও জানান, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের সমাপনী পরীক্ষা শেষ করে হলে উঠবেন। এছাড়া ইতোমধ্যে যাদের স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ হয়েছে তাদের কেউই আবাসিক হলে উঠতে পারবেন না।

প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান জানান, আগামী ২ অক্টোবরের সিন্ডিকেট সভায় হল খোলার এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, সভায় শিক্ষকেরা পূজার ছুটি শেষে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে মত দেন। সে কারণে ২১ অক্টোবর হল খুলে দেওয়া হবে বলে সুপারিশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা করোনা ভাইরাসের টিকার একটি ডোজের সনদ দেখিয়ে হলে প্রবেশ করতে পারবেন।

যেসব শিক্ষার্থী করোনার টিকার জন্য নিবন্ধন করে এখনও এসএমএস পাননি, তাদের এসএমএস ছাড়াই টিকা দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম যোগাযোগ করবেন বলেও তিনি জানান।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, হল খোলার পর ১৪ দিন হলে থেকে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে হলের বাইরে যেতে পারবেন তারা।

তিনি আরও জানান, ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুললেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আরও কিছুদিন পরে অভ্যন্তরীণ দোকানপাট খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় সকাল-সন্ধ্যা খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে খাবার নিয়ে হলে গিয়ে খেতে পারবেন। এছাড়া হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিন চালু থাকবে।

এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে গত প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকা হলের ফি এরইমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী পরিশোধ করায় আগামী ১৮ মাসের হল ফি মওকুফ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থী হলের সিটভাড়া দিয়েছেন। তাদের সে টাকা ফেরত দেওয়ার জটিলতার কারণে সবার আগামী ১৮ মাসের সিটভাড়া মওকুফ করা হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.