মেসির প্রথম গোল, পিএসজির দুর্দান্ত জয়

হাঁটুর চোটে বাইরে ছিলেন দুই ম্যাচ। শঙ্কা ছিল ম্যান সিটির বিপক্ষে খেলা নিয়েও! তবে বড় মঞ্চে শঙ্কা ও জমে থাকা সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন মেসি। সাবেক গুরু পেপ গার্দিওলার দল ম্যানচেস্টার সিটি দেখল নতুন জার্সিতে মেসির উল্লাস। তাতেই পার্ক দি প্রিন্সেসে ২-০ গোলে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে প্যারিসের দলটি।

বল দখলে প্রায় সমানে সমান দুইদল। ম্যান সিটির আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে পিএসজি একটু দেখেশুনে খেলতে থাকে। তবে গোল পেতে সময় লাগেনি স্বাগতিকদের। ম্যাচ ঘড়ির ৮ মিনিটে পিএসজি এগিয়ে যায়। ডান প্রান্ত থেকে এমবাপ্পের কাটব্যাক থেকে নেইমারের পা হয়ে বল পেয়ে যান ইদ্রিসা গে। সেনেগালিজ এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার একটু জায়গা করে নিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান।

এক গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যান সিটি গোল শোধ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ২৫ মিনিটে পেপ গার্দিওয়ালার দলের দুর্ভাগ্য। দুটি প্রচেষ্টা বারে লেগে ফিরে প্রতিহত হয়! কেভিন ডি ব্রুইনার ক্রসে রহিম স্টার্লিংয়ের হেড ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি বলে ৬ গজ দূরত্ব থেকে বার্নার্ডোর শট ক্রস বারে লেগে গোল হয়নি।

৩২ মিনিটে হোয়াও ক্যানসেলো এর বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট গোলকিপার দোনারুম্মা তালুবন্দী করেন। শেষ ১৩ মিনিটে খেলা আরও জমে ওঠে। দুইদলই সুযোগ পেয়েছিল লক্ষ্যভেদ করার। কিন্তু কেউই সফল হতে পারেনি। ৩৫ মিনিটে নেইমারের শট অনেক দূর দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর মাহরেজের পাসে ব্রুইনার শট গোলকিপার তালুবন্দী করেন।

৩৮ মিনিটে এমবাপ্পের কাটব্যাক থেকে হেরেরার শট গোলকিপার মোরারেস হাত উচিয়ে রুখে দেন। ৪৩ মিনিটে কর্নার থেকে রুবেন দিয়াসের হেড দোনারুম্মা ফিরিয়ে দিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতির পর পিএসজি অনেকটাই প্রতি-আক্রমণ নির্ভর খেলেছে। ৫৪ মিনিটে ব্রুইনার শট গোলকিপার দোনারুম্মা পা বাড়িয়ে রুখে দেন। ৬৫ মিনিটে নেইমারের শট বাইরের জাল কাঁপায়। ৭০ মিনিটে ব্রুইনার জোরালো শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৭৪ মিনিটে লিওনেল মেসি গোলের দেখা পান। এমবাপ্পের সঙ্গে ওয়ান টু খেলে বক্সের বাইরে থেকে নিঁখুত শটে পিএসজির হয়ে প্রথম লক্ষ্যভেদ করলেন এই তারকা।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.