‘রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের পরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে’

উৎপাদনে এত সাফল্যের পরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের অফিসকক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে চালের রেকর্ড পরিমান উৎপাদন হয়েছে। মোট উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা দুটোই বেড়েছে। এত সব সাফল্যের পরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে। জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে আবাদের জমি কমছে। এ অবস্থায়, উৎপাদনের পরিমাণ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তা দেখতে হবে। ধানের নতুন উদ্ভাবিত জাত-যেগুলোর উৎপাদনশীলতা বেশি তা দ্রুত কৃষকের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। হাইব্রিড জাতের ধানের ফলন বেশি, এটিকেও আরও সম্প্রসারিত করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে। দাম স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আগামী বছর উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে, কৃষক যাতে পেঁয়াজের ভালো দাম পান, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেজন্য পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রাখা হবে।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ দুই হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম সভা সঞ্চালনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতির সঙ্গে বাস্তব অগ্রগতির দিকেও নজর দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কী প্রভাব পড়েছে ও কী ফলাফল এসেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। ফলাফল ভালো না আসলে প্রজেক্ট করে লাভ হবে না।

সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.