মারা যাওয়ার পর গিনেস বুকে নাম উঠলো বাংলাদেশের ‘রানী’র

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি পেল সাভারের শিকড় এগ্রোর ‘রানী’। তবে এই স্বীকৃতির আগেই গরুটি গত ১৯ আগস্ট মারা যায়।

মাত্র ২০ ইঞ্চি উচ্চতা, লম্বায় ২৩ ইঞ্চি এবং ২৬ কেজি ওজনের বক্সার ভূট্টি জাতের খর্বাকায় ‘রানী’ নামে পরিচিত এই ছোট গরুটির মালিক ‘শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’।

গিনেজ বুকের আগের রেকর্ড অনুযায়ী, বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গরুটি ছিল ভারতের কেরালা রাজ্যের। চার বছর বয়সী ওই গরু উচ্চতায় ২৪ ইঞ্চি, আর ওজন ছিল ৪০ কেজি।

প্রায় এক বছর আগে নওগাঁ থেকে গরুটি সংগ্রহ করেন খামার মালিক। পরে রানীকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু দাবি করে গত ২ জুলাই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের কাছে আবেদন জানায় শিকড় অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ। ৪ জুলাই প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তা যাচাই করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ খবর নিশ্চিত করে ই-মেইল পাঠিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন খামারের পরিচালক কাজী মো. আবু সুফিয়ান। তিনি জানান, দুর্ভাগ্য এই বিশ্বস্বীকৃতি হাতে পাওয়ার আগেই গত ১৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে মারা যায় রানী। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকডস কর্তৃপক্ষ তাকে ই-মেইলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানান তিনি।

সেলিম বলেন, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা রানীর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। ওরা মূলত দেখেছে, আমরা হরমোন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রাণীকে বামন করেছিলাম কিনা? কিন্তু প্রতিবেদনে এ ধরনের কোনো কিছুই তারা পায়নি। চারদিন আগে ওরা রানীকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের প্রসেসের কারণে বিলম্বে আমাদের ই-মেইল করেছে সোমবার।

তিনি জানান, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে যখন রানীর নাম উঠতে আর কিছু দিন বাকি, তখন আমরা তাকে হারিয়েছি। তাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় আমরা অনেক বেশি আনন্দিত। তবে রানী বেঁচে থাকলে এই আনন্দের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যেত।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.