কাদের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মহামারিতে আক্রান্ত: রিজভী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মহামারিতে আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রতিদিনই বলেন ষড়যন্ত্র হচ্ছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এতদিন ছিল করোনার মহামারি এখন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মহামারি। এ ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে বসে আছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব।

আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আ.স.ম হান্নান শাহের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, তারা এত অন্যায় অবিচার করেছেন যে এখন এসব কথা বলে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। এমন কোন ওষুধ নাই এ মহামারি থেকে ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বাঁচাবে।

তিনি বলেন, হান্নান শাহ প্রমাণ করেছেন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকলে অন্যায়কারীরা পরাজিত হয়। ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দীন পরাজিত হয়েছেন। আজকে হান্নান শাহ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তিনি বিজয়ী হয়েছেন গণতন্ত্রের পক্ষে। সে সময় যদি আন্দোলন অব্যাহত না থাকতো তাহলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আজও কারাগারে থাকতে হতো। সে সময় ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহসহ কিছু লোক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে তারা মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু সে আন্দোলনের ধারা অব্যাহত নাই।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, মঈন উদ্দীন, ফখরুদ্দিনের রেখে যাওয়া কাজ একনিষ্ঠভাবে এখন করছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন সেখানে আন্দোলন হয়েছে। তাই তিনি বলেছেন দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। দেশে যখন ভোট চুরি হয়, দুর্নীতি হয়, মা বোনরা ধর্ষণের শিকার হয় তখন ভাবমূর্তি নষ্ট হয় না? প্রধানমন্ত্রী আপনার কি লজ্জা নেই? আপনি দিনের ভোট রাত্রে করেন!

রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা প্রায়ই বলেন বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। সব দরজা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন বিএনপি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য সামনের দরজা দিয়ে হোক আর যে দরজাই হোক, কাঠের, লোহার দরজা ভেদ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আব্দুস সালাম প্রমুখ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.