রফতানিতে নগদ সহায়তায় যুক্ত হলো আরও চার খাত

চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) নতুন চারটি পণ্য নগদ সহায়তার জন্য যুক্ত করেছে সরকার। ফলে এবারের অর্থবছরের ৪২টি পণ্য ও খাত নগদ সহায়তা পাবে।

এ সকল খাতের মধ্যে রয়েছে দেশে উৎপাদিত চা, বাইসাইকেল ও এর পার্টস, এমএস স্টিল প্রোডাক্টস এবং সিমেন্ট শিট। চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) চারটি নতুন খাতে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা হবে।

আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশেষায়িত অঞ্চলের (বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্ক) বিদ্যমান সহায়তার আওতা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান সুবিধা ছাড়াও বিশেষায়িত অঞ্চলের ‘এ’ টাইপ ও ‘বি’ টাইপ প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানির বিপরীতে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য করা হয়েছে। বিশেষায়িত অঞ্চলের সকল ক্যাটাগরিভুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে অন্যান্য পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে রফতানি প্রণোদনা সহায়তা পাবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা রাখা হয়েছে। ফ্লোট গ্লাস শিট, ওপাল গ্লাসওয়্যার, কাস্ট আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য হালকা প্রকৌশল পণ্য খাতের আওতায় রফতানি ভর্তুকির জন্য বিবেচিত হবে।

পাশাপাশি উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন পণ্য (কম্প্রেসার) এবং এইচসিএফসিমুক্ত রেফ্রিজারেটর ইলেকট্রনিক পণ্য হিসেবে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স খাতের আওতায় রফতানি ভর্তুকি প্রাপ্য হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, প্রযোজ্য সবখাতে নগদ সহায়তা, রফতানি ভর্তুকি ও প্রণোদনা সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রফতানির বিপরীতে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ দেশীয় মূল্য সংযোজন থাকতে হবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়েছে।

নগদ সহায়তা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাবরের মতো চলতি অর্থবছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে নগদ সহায়তা পরিশোধ বিষয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

রফতানিকারকরা বলছেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রণোদনা সহায়তা বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি আসবে। পাশাপাশি এ সহায়তায় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংকট কটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.