ই-কমার্স রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

দেশের ই-কমার্স ব্যবসা তদারকি করতে একটি ‘ই-কমার্স রেগুলেটরি অথরিটি’ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাধন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চেয়ারম্যান ও ই-ক্যাবকে বিবাদী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।

ই-কমার্স নিয়ে হাইকোর্টের সতর্ক ও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন কথা বলার একদিন পরই এ রিটটি দায়ের করা হলো।

এর আগে গতকাল গ্রাহকদের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে ই-কমার্স ব্যবসাকে আইনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দেখুন, পৃথিবীর সব দেশেই ই-কমার্সের ব্যবসা রয়েছে। এটা জনপ্রিয় একটা ব্যবসা। আমাদের দেশে ই-কমার্স ব্যবসা নতুন। কতিপয় অসাধু ব্যক্তি তাদের অসাধু কার্যকলাপের জন্য ই-কমার্স ব্যবসা পেছনের দিকে নিয়ে গেল। নতুন একটা ব্যবসায় মানুষজন কাজ করতে পারতো। সেটাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসাটাকে নষ্ট করে ফেলা হলো।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আরও বলেন, আমার জানামতে ই-কমার্স নিয়ে কোনো আইন হয়নি। এটাকে আইনের আওতাভুক্ত করতে হবে। আমি মনে করি, যারা এ ধরনের ব্যবসা করবেন, তাদের কাছ থেকে একটা সিকিউরিটি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে তাদের লাইসেন্স দেবে। সে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার হন, তাদের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি মানি থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে। আর কেউ প্রতারিত হলে, তিনি দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করতে পারেন। এ ছাড়া ক্রেতাকে সাবধান হতে হবে। আমি সবাইকে একটা পরামর্শ দেব— কোনো ধরনের বিনিয়োগ করার আগে, কোনো পণ্য অর্ডার করার আগে, দয়া করে করে এর ভালো-মন্দ দিকটা ক্ষতিয়ে দেখে তারপর অর্ডার করবেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.