‘ভারত কথা দিয়েছে, সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না’

সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে- সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না। আশা করি দেশটির সরকার এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।

আজ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকাস্থ সরকারি বাসভবনে ব্রিফিং কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের সীমান্ত নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভুলে গেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। বিএনপি মুখে ভারত বিরোধিতার ফেনা তুললেও ভারতের সঙ্গে নতজানু অবস্থান নিয়েছিল, যা তাদের সময়ে দেশবাসী দেখেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় বহু বছরের পুরোনো ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সমস্যা আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়। বিএনপি তাদের শাসনামলে কোনো সমস্যার সমাধানতো করতে পারেইনি বরং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেয়াল তুলেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে তৈরি করেছে সম্পর্কের সেতুবন্ধন।

‘সীমান্ত সমস্যাকে জিইয়ে রেখে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন, যারা ভারত সফরে গিয়ে পানি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তনের পর যারা ভারতীয় দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, তার চেয়ে নতজানু নীতি আর কী হতে পারে?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না।

সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না।

তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের সঙ্গে হাত মেলায়, তারা কখনো সার্বভৌমত্বের রক্ষক হতে পারে না। আওয়ামী লীগের হাতেই এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ।

এসময় ওবায়দুল কাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ৬৭তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, সাদমাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত শেখ রেহানা লন্ডনে মেট্রো ও বাসে যাতায়াত করেন। চাকরি এবং পরিশ্রম করেই সন্তানদের মানুষ করেছেন তিনি। তার ত্যাগ, প্রেরণা এবং অন্তহীন সমর্থনে শেখ হাসিনা আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর জীবনে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, শেখ রেহানাও বড় বোন শেখ হাসিনার জীবনে সে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (শেখ রেহানা) প্রচার বিমুখ। কখনও লাইম-লাইটে আসেন না। দেশ জাতি এবং গণতন্ত্রের জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.