তিন কোম্পানিকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার ছাড়ার নির্দেশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানিকে নতুন করে বাজারে শেয়ার ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মাধ্যমে কোম্পানি তিনটির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা পরিশোধিত মূলধনের ন্যুনতম ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। তবে এর পরিমাণ যদি ৩০ কোটি টাকার কম হয়, তাহলে শেয়ার ছেড়ে তা পূরণ করতে হবে।

আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি কোম্পানি তিনটিকে এই নির্দেশ দিয়েছে।

কোম্পানি তিনটি হচ্ছে-ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

নির্দেশনা অনুসারে, কোম্পানি তিনটি আগামী এক বছরের মধ্যে শেয়ার বিক্রির এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে। তবে কোনো মাসেই ১ শতাংশের বেশি শেয়ার বিক্রি করা যাবে না।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ফ্রি ফ্লোট শেয়ার রয়েছে মাত্র দশমিক ৯৭ শতাংশ। ১০ শতাংশের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হলে কোম্পানিটিকে আরো ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। বাজারে আইসিবির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। ফলে আরো ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে কোম্পানিটির। বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্টসের ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ ৫ শতাংশ। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোম্পানিটিকে আরো ৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন নির্দেশের ফলে কোম্পানি তিনটির উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৫৯ হাজার ৪২২টি শেয়ার বিক্রি করতে হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে যার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা।

বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাজারে শেয়ার সরবরাহ বাড়ানোর প্রক্রিয়া হিসেবে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাজারে আলোচিত কোম্পানি তিনটির শেয়ার সংখ্যা অনেক কম থাকায় দাম অনেক বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বিদ্যমান পাবলিক ইস্যু রুলস অনুসারে, প্রতিটি কোম্পানিকে ণ্যুনতম ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হয়। আগের আইনে এমন বাধ্যবাধকতা না থাকায় কোম্পানি তিনটি কম শেয়ার ছেড়েছিল। তাই নতুন শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে অন্য কোম্পানিগুলোর সাথে সামঞ্জস্য আসবে।

এদিকে আজ রাতে বিএসইসির এই নির্দেশনা জারির খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আলোচিত তিন কোম্পানির শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের আশংকা, বাড়তি শেয়ার ছাড়ার ঘোষণার ফলে কোম্পানি তিনটির শেয়ারের বড় মূল্য পতন হতে পারে। তাতে তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ কোম্পানি তিনটির স্পন্সররা শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিলে বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা বের হয়ে যাবে তাতে বাজারে তারল্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.