নিজ দলের সহিংস উগ্রপন্থীদের মোকাবিলার আহ্বান বুশের

অভ্যন্তরীণ সহিংস উগ্রপন্থীদের বিদেশি উগ্রপন্থীদের সঙ্গে তুলনা করে এবার তাদের মোকাবিলার জন্য আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।

দুই গোষ্ঠীকে তিনি ‘একই জঘন্য আত্মার সন্তান’ বলেও অভিহিত করেন নাইন-ইলেভেন উপলক্ষে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দেওয়া ভাষণে।

সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ক্রমবর্ধমান তথ্য-প্রমাণে দেখছে- আমাদের দেশের ওপর বিপদ কেবল বাইরে থেকেই আসবে না, বরং সহিংসতা থেকেও আসবে যা দেশের মধ্যেই তৈরি হয়েছে।

জাতির মধ্যে বিভক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতিতে কোনো ধরনের রাখঢাক ছাড়াই ক্রোধ, ভয় এবং বিভাজনের প্রতি আবেদন তৈরি হয়েছে। এটি আমাদের জাতি এবং আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তিত করে তোলে।

বুশ গত নির্বাচনের পর ক্যাপিটল হিলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলা এবং হামলা পরবর্তী নিজ দলের নেতাদের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন।

সাবেক এই প্রেসিডেন্টের দেওয়ার বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমরা যা তার কথায় সেটি উঠে এসেছে।

এদিকে, যেসব কিশোর-কিশোরী অর্থাৎ ৯/১১ এর আগে যাদের জন্ম বা বোধদয় হয়নি- তবে দিনটিকে স্মরণ করছেন তাদের উদ্দেশে বুশ বলেন, তখন আমাদেরকে যে অভিজ্ঞতা ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে সেই মিশ্র অনুভূতি বর্ণনা করা খুব কঠিন। শয়তানদের অদম্যতার অভিঘাত এবং বীরত্ব ও যথাযথ আচরণ ভয়াবহ এই হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ভয়াবহ এই হত্যাযজ্ঞ ও বিপদসংকেত নিয়ে গোটা বিশ্ব উচ্চকিত হলেও আচমকা অনেকের মুখের আওয়াজ থেমে যায়। যাদের কথা আর কখনো শোনা যাবে না। ৯/১১ এর হামলার পর আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ শুরুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি স্বীকার করেন, ওই দুই দেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিয়ে বিতর্কও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের শুরু করা ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে’ যেসব সামরিক সদস্য সরাসরি অংশ নিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, দায়িত্বের কারণে আপনি লড়াই করেছেন আমেরিকার পক্ষে দেওয়া সেটাই সবচেয়ে মহৎ কাজ। এরপর কিছুই আপনাদের মহত্বকে ছোট করতে পারবে না।

ছিনতাই করা চারটি যাত্রীবাহী বিমান দিয়ে ২০০১ সালে আল-কায়েদার চালানো এই হামলায় নিউইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ার এবং ওয়াশিংটনের পেন্টাগন আক্রান্ত হয়। আরেকটি বিমান কোথাও আঘাত হানার আগেই বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এই হামলায় নিহত হন প্রায় তিন হাজার মানুষ। এরপর আফগানিস্তানে সেনা পাঠান জর্জ বুশ।

সূত্র: সিএনএন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.