অবৈধ সম্পদ অর্জন: ওসি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আমলে নিয়েছেন আদালত। শুনানিতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের জামিন নামঞ্জুর ও তার স্ত্রী চুমকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলি ও দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক।

তিনি জানান, আজ কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার্জশিট (অভিযোগপত্র) বিষয়ে শুনানি হয়। চট্টগ্রাম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান বিষয়টি আমলে নেন। এসময় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকীর জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত ওসি প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং তার স্ত্রী চুমকী পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এর আগে গত বছরের ২৮ জুলাই বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকিরে বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তার আগে ১৪ সেপ্টেম্বর টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রামে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত বছরের ২৩ আগস্ট দুদকের চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে সম্পদ ক্রয় করে ওসি প্রদীপ তার স্ত্রীর নামে রেখেছেন বলে অনুসন্ধানে দুদক তথ্য পেয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.