বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন তাত্ত্বিক: পরিকল্পনামন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু একজন তাত্ত্বিক মানুষ ছিলেন। তিনি শুরু থেকে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছেন। কারণ বঙ্গবন্ধুর কথায় বাবা-চাচার মনের ভাষা শোনা যেতো। তারমধ্যে মিশে ছিল বাংলার ধানগাছ-মাছের গন্ধ। সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর শিল্পায়ন দর্শন: আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক সময়ের ছিলাম আমি। ৬০-এর দশক থেকে আমরা বঙ্গবন্ধুতে আচ্ছন্ন ছিলাম। আর বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা ছিল শোষণের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিজস্বতা তৈরি করা নিয়ে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার যে ক্রোধ, সেটা দেখে সকলে আবেগ নিয়ে তাকে গ্রহণ করতেন। তিনি বাঙালি হিসেবে নিজের মূল পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। সেটা সকলে সাদরে গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর যা করলেন সেটাও পরিকল্পিত। তার সংবিধানে ছিল, পরিকল্পিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। যার মূলে থাকবে ন্যায় বিচার, অন্যায় অর্থনৈতিক শোষণ বন্ধ। যে আদর্শ এখন আমরা বাস্তবায়ন করছি। স্বাধীনতার পরে ২০ বছর আমাদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যায় করা হয়েছে। স্বাধীনতার আগেও নানা জাতি এসেছিল যারা আমাদের লুটপাট করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধূরী (পারভেজ) বলেন, আমরা যে এসডিজি নিয়ে কথা বলছি, সেটার একটি সুপ্ত চিন্তাধারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে ছিল। যা তিনি স্বাধীনতার আগেই ভেবেছিলেন। আর স্বাধীনতার পরে তার কার্যক্রমেও সেগুলোর প্রতিফলন ছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের উন্নয়ন নিয়ে যা ভেবেছেন, তার প্রতিফলন তিনি সংবিধানে দেখিয়েছেন। যতটুকু সময় তিনি পেয়েছেন, সেটা বাস্তবায়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরও ২৫ বছর আগে উন্নত দেশ হতো। এখন বেশ পরে হলেও তার কন্যার হাত ধরে সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এসেছি আমরা।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিডব্লিউসিসিআইয়ের সভাপতি সেলিমা আহমাদ, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.