করোনা: টানা ৩ দিন মৃত্যু একশর নিচে

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত দেড় বছর ধরে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে ধাপে ধাপে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় জীবন-জীবিকার স্বার্থে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে এখনো চোখ রাঙাচ্ছে এ ভাইরাস। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে। তবে এ সময় সংক্রমণ হার কমেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৭২৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ২৮ জুলাই দেশে ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ৩৯৪৮, ৩৪৩৬, ৩৫২৫, ৪৬৯৮, ৪৯৬৬, ৫২৪৯ ও ৫৭১৭ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৬১ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩০ হাজার ৮৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৭ হাজার ৯২১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৩২৭ জনের। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশ।

আজ সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ৩৭২৪ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ১৪৯৭২৬১ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ৯৪ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ২৬১০৯ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ৬১৮৬ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ১৪২১৮৮৩ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯৪ জন মারা গেছেন। গত ১০ আগস্ট ও ৫ আগস্ট দেশে করোনায় মারা যান ২৬৪ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ৮৯, ৮০, ১১৭, ১০২, ১১৪, ১১৪ ও ১১৭ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১০৯ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৬ হাজার ১৮৬ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ২১ হাজার ৮৮৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.