সত্য কথা বললে আ.লীগের বিপক্ষে চলে যায়: রিজভী

সত্য কথা বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে চলে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, রুহুল আমিন গাজী, কবি আল মাহমুদ- এরা সব সময় দেশের পক্ষে সত্য কথা বলেছেন। সত্য কথা, দেশের পক্ষে বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যায়। সে জন্য এসব বরেণ্য ব্যক্তিকে এ সরকার স্বীকৃতি দেয়নি।

আজ সোমবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যারা টিক্কা খানের চাকরি করেছে কিন্তু জয় বাংলা স্লোগান দেয় তারা আওয়ামী লীগের কাছে, তাদের নেত্রীর কাছে প্রিয় হয় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনার স্বামীর বইটি কি আপনার কাছে নেই? তিনি বইতে লিখেছেন- আমি আর শেখ হাসিনা মালিবাগ থেকে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছি। তাহলে আপনি কাকে অনুসরণ করেন? আপনার চারপাশের চামচাদের?

তিনি বলেন, আপনি বলেছেন জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছে কি না প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। ঐতিহাসিক সত্যের প্রমাণ লাগে না। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কি না, আপনার পরিবার মুক্তিযুদ্ধ করেছে কি না, সেটা এখন প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। সত্যিকার অর্থে আপনারা মুক্তিযুদ্ধ চেয়েছিলেন কি না? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন কি না, নাকি বৃহত্তর পাকিস্তানের ক্ষমতা ছেয়েছিলেন এটা এখন গবেষণার প্রধান টপিক।

রিজভী আরও বলেন, রুহুল আমিন গাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা, তার ওপর নিপীড়ন কেন? কারণ একটাই- তিনি সত্য কথা বলেন, লেখনির ক্ষুরধার, আর লেখনী ক্ষুরধার হলে এই সরকারের সমালোচনা আসবে। একজন বিবেকবান মানুষ, যদি তিনি সাংবাদিক হন তাহলে তিনি লিখবেন না? অবশ্যই লিখবেন। আর এই অপরাধে তিনি আজ কারাগারে। আর যারা দুর্নীতি করছে, সন্ত্রাস করছে, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়ান, এমপি-মন্ত্রী হন।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.