পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনের দুয়ার খুলছে

করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ৩ এপ্রিল থেকে সংক্রমণের বিস্তার রোধে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় প্রায় পাঁচ মাস পর আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবন।

সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘শর্তসাপেক্ষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবন দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। ভ্রমণের সময় সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং নৌযান থেকে বনে নামতে হলে এবং ঘুরতে হলে সর্বাধিক ২৫ জনের দল করা যাবে। একসঙ্গে বেশি লোক বনে নামা ও ঘোরাফেরা করা যাবে না। যারা এসব শর্ত ভঙ্গ করবে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বন বিভাগ।’

গত ৩ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকায় ৩০ আগস্ট পর্যন্ত চার মাস ২৭ দিনে বন বিভাগ প্রায় ২০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর মাত্র একদিন পর খুলবে সুন্দরবন, তাই বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে ফুট ট্রেইলার ও ওয়াচ টাওয়ারসহ বিভিন্ন স্থাপনা ব্যবহার না হওয়ায় ময়লা জমে ও ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘ডিএফও (বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন) স্যার বলেছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তাই তিনি সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছেন। আমাদের করমজলে যেখানে যে সমস্যা আছে, তা আমরা ঠিকঠাক করার কাজ করছি। পর্যটকেরা আসামাত্রই আমরা তাদের যথেষ্ট সেবা দিতে সক্ষম হব।’

এদিকে, প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ট্যুর অপারেটররাও। তাঁরা নৌযানগুলো ধুয়ে-মুছে রাখছেন এবং ক্রুটি সারিয়ে নিচ্ছেন। পর্যটন ব্যবসায়ী দ্য সাউদার্ন ট্যুরস-এর মালিক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘করোনার কারণে সুন্দরবন বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে। এখন খুলে দেওয়ার পাশাপাশি যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে, তা আমারা প্রতিপালন করেই ট্যুর অপারেট করব ইনশাআল্লাহ।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.