জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নির্লজ্জ মিথ্যাচার: বিএনপি

জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেননি এবং চন্দ্রিমা উদ্যানে তার মরদেহ নেই বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার’ বলে আখ্যায়িত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) বক্তব্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার শামিল। প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা রুচিহীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার কারণে এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছিল। এটা তো চাঁদের আলোর মতো পরিষ্কার। এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু হতে পারে না। কারণ তৎকালীন সেনা অধিনায়ক জেনারেল এরশাদ নিজেই জিয়াউর রহমানের লাশ বহন করেছেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে জিয়ার সমাধি সরকার স্থানান্তর করবে না বলেও মনে করেন মির্জা ফখরুল।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ, তার মাজার সম্পর্কে এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে যে মিথ্যাচার করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায়। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নিন্মমানের মিথ্যাচার জাতিকে বিভ্রান্ত করবার এবং জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করবার অপচেষ্টা বলে মনে করে বিএনপি। দলীয় সভায় এ ধরনের মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকবারও আহ্বান জানানো হয়’।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইউনিসেফের মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ এর কারণে সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানের প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা হয়। দীর্ঘকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা স্তর পর্যন্ত চার কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত। আগেও বিএনপি স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ১৮ বছরের বেশি বয়সের সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের টিকা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবারের সভায়ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা আসার চার বছর অতিক্রম করার পরও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানোর কোনো ব্যবস্থা করতে না পারা সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা। সরকার রোহিঙ্গা শরানার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে কোনো কার্যকারী কূটনৈতিক পদক্ষেপ না নেওয়ায়, চীনের মধ্যস্থতা ব্যর্থ হয়েছে। ভারত এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেনি। জাতিসংঘের কোনো ফলপ্রসূ উদ্যাগ গ্রহণ করানোর ক্ষেত্রেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলীয় সভায় সম্প্রতি আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসীদের বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাসের টিকার পর্যাপ্ত মজুদ না রেখেই টিকা কর্মসূচি আবার শুরু করা সরকারের আরও একটি ভুল সিদ্ধান্ত বলে মত ব্যক্ত করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনিঅর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.