১ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএ)।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি।

মানববন্ধনে দ্রুত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় নিজেদের দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে অবৈতনিক ও সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করা সরকারের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও অবদান রেখে চলেছে। একসঙ্গেই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের ফলাফল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক ভালো।

এই দীর্ঘ বন্ধকালীন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন উল্লেখ করে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ নুরুন নবী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। মাস পার হলেই সব ধরনের খরচ দরজায় কড়া নাড়তে থাকে। স্বাভাবিক জীবন ধারণ আমাদের জন্য অসহনীয় হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, এসব চাপ মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে সহকর্মীরা কেউ কেউ আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ পেশা পরিবর্তন করে দিনমজুর, রিকশা চালক, শ্রমিক, রাজমিস্ত্রি, ফুটপাতের ব্যবসায়ী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছে। যা দেশের জন্য লজ্জাজনক।

করোনাকালীন কোনো আর্থিক সুবিধা বা সহযোগিতা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা পাননি উল্লেখ করে সংগঠনটির মহাসচিব এম জাহাঙ্গীর কবির রানা বলেন, লেখাপড়া করে বেকার না থেকে উদ্যোক্তা হয়ে দেশের কাজে অংশ নিতে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা সমাজের ৮ লাখের বেশি বেকার যুবকের বেকারত্ব দূর করেছি এবং প্রায় এক কোটি শিশুর লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছি। এরপরও আমরা সার্বিকভাবে অবহেলার শিকার হচ্ছি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি করে তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস আমরা বারবার আশার আলো দেখেছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান খুলবে, আমরা আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছি। সবকিছু খুলে দেওয়া হলেও শুধুমাত্র বন্ধ থাকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.