সাড়ে ১৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমিয়ে ৭ দফায় মোট সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। কম শুল্ক হারে চাল আমদানিতে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের শেষ দিন বুধবার (২৫ আগস্ট)। এ দিন খাদ্য মন্ত্রণালয় ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠায়।

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এই সুবিধা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৭ আগস্ট ৪১ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১০ হাজার টন, ১৮ আগস্ট ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টন, ২১ আগস্ট ৯২ প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টন, ২২ আগস্ট ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ২২ হাজার টন, ২৩ আগস্ট ৪১ প্রতিষ্ঠানকে ৯৪ হাজার টন এবং ২৪ আগস্ট ৩৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৭ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে বলে বরাদ্দের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দের আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নামে পুনরায় প্যাকেটজাত করা যাবে না। এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.