পরীক্ষার প্রস্তুতি আছে, না পারলে গতবারের মতো: প্রতিমন্ত্রী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে। অক্টোবরের মধ্যে স্কুল খুলতে পারলে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকলে গতবারের মতো মূল্যায়ন করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, গতবার পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে ওঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

জাকির হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। স্কুলগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছি। সংসদ টিভিতে ক্লাস হচ্ছে। স্কুল বন্ধ থাকলেও আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। তাদের ওয়ার্কশিট দেওয়া হচ্ছে।

স্কুল কবে খুলবে- এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্কুল খোলার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা লাগবে। এখন যে পরিস্থিতি, হুট করে তো স্কুল খোলা যায় না। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন। স্কুল খোলার বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। প্রধানমন্ত্রী যদি আজ নির্দেশনা দেন আমরা আগামীকাল থেকেই স্কুল খুলতে প্রস্তুত আছি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিজ্ঞজনরা স্কুল খোলার বিষয়ে মত দিচ্ছেন। দেড় বছর বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। তারা নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে। অনলাইনেও আমাদের কিছু সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বাজে গেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।

স্কুল বন্ধ থাকায় প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে বাল্যবিয়ে বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্কুল খুললেও আপাতত দুই ভাগে হবে প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের ক্লাস। এরমধ্যে ক্লাস থ্রি, ফোর ও ফাইভে সপ্তাহে ২ দিন করে ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে একদিন করে নেওয়া হবে। এভাবে আমরা করতে চাচ্ছি। আমাদের কারিকুলাম অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত একটা সিলেবাসও চিন্তা ভাবনা করছি।

সমাপনী পরীক্ষার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাপণী পরীক্ষা সশরীরে হবে নাকি মূল্যায়নভিত্তিক হবে এ সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি অনুযায়ী নেওয়া হবে। এ রকম যদি পরিবেশ থাকে তাহলে পরীক্ষা না নিয়ে আমরা গতবার যেভাবে মূল্যায়ন করেছি সেভাবে করব। আমরা তো ওয়ার্কশিট দিচ্ছি। এই ওয়ার্কশিটগুলোই আমরা মূল্যায়ন করব। এই শিট অনুযায়ী বাচ্চারা কে কী করল, সেভাবেই মূল্যায়ন করব।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.