জুলহাজ-তনয় হত্যা: জিয়াসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

ঢাকার কলাবাগানে পাঁচ বছর আগে খুন হওয়া সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ আট আসামির মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আজ রোববার (২২ আগস্ট) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই দাবি জানান রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির)।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর), আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, জুনাইদ আহমদ ওরফে মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম চারজন পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরের চারজন কারাগারে আছেন।

আজ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তবে তা শেষ হয়নি। সোমবার (২৩ আগস্ট) অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।

রাজধানীর কলাবাগানে পাঁচ বছর আগে খুন হওয়া ওই মামলায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে প্রবেশ করে সমকামী অধিকার কর্মী ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা করেন। পরে সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পর ২০১৯ সালের ১২ মে জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল।

অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার আদেশ দেওয়া হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.