যুবলীগ নেতার পিটুনিতে বাবা-ছেলে হাসপাতালে

লক্ষ্মীপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবা-ছেলেকে বেদম মারধর করে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা মো. ইসলামের বিরুদ্ধে। আহতরা হলেন হুমায়ুন কবির (৬০) ও তাঁর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের হাসানুলের চা-দোকানের সামনে এ হামলার শিকার হন বাবা-ছেলে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযুক্ত ইসলাম দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও মজিবর আলীর ছেলে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত হুমায়ুন কবির বলেন, একটি পুকুরকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা ইসলাম তার ছেলে সোহাগ ও তার ভাই তাজল ইসলাম আমাকে ও আমার ছেলেকে বেদম মারধর করে। আমরা তার সঠিক বিচার চাই।

লক্ষ্মীপুর সদর (মডেল) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মারামারির খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হামলাকারী যুবলীগ নেতা ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমাদের এলাকার এক জেলের সাথে একটি পুকুরের বিষয় কথাবার্তা বলি। এ সময় হুমায়ুন কবির হঠাৎ অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। তার সাথে আমার কথা-কাটাকাটি হয়েছে। বাবা-ছেলের মাথা কিভাবে ফেটেছে জানতে চাইলে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি হামলাকারী ইসলাম।

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ড) যুবলীগের সভাপতি ইসলাম নয়, সেখানে রাজু নামে এক ব্যক্তি সভাপতি বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে সদর উপজেলা পশ্চিম যুবলীগের আহ্বায়ক তাফাজ্জল হোসেন চৌধুরী টিটু বলেন, যদি কেউ দলের প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে কাউকে মারধর করে তাহলে তদন্ত কমিটি গঠন করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.