শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু ও স্বজনদের স্মৃতির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার স্মরণে নির্মিত জাদুঘরের সামনে রাখা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।

পরে বনানী কবরস্থানে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি তাঁর মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ভাই-শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট নিহত স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর সকাল ৭টার পর দলীয় নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে শ্রদ্ধা নিবদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু, কর্নেল জামিলসহ ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা-শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.