১১ বছর পর যুক্তরাজ্যে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৬

যুক্তরাজ্যের ডেভনের বন্দরনগরী প্লিমাউথে গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সেখানকার পুলিশ নিশ্চিত করেছে, গুলিতে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যে দেশগুলোয় গুলির ঘটনা কম ঘটে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য। গুলি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যার ঘটনা একেবারেই কম দেশটিতে। বিগত ১১ বছরের মধ্যে এই প্রথম এভাবে নির্বিচারে গুলির ঘটনা ঘটল।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেহ্যাম এলাকার বিডিক ড্রাইভে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় তিনজন নারী, দুইজন পুরুষ ও সন্দেহভাজন হামলাকারী মারা গেছে। বন্দুকের গুলি বা এ সম্পর্কিত জখম থেকে সবার মৃত্যু হয়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় এক সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, নিহত একজনের বয়স ১০ বছরের কম। আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে ডেভন অ্যান্ড কর্নওয়াল পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। আরেক নারী হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত বলে মনে করছে না পুলিশ। ঘটনাস্থলের ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোথাও শেয়ার করতে নিষেধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

প্লাইমাউথ মুর ভিউ সংসদ সদস্য জনি মার্সার বলেছেন, এলোপাতাড়ি গুলির এ ঘটনা কোনো সন্ত্রাসী কাণ্ড নয়।

বার্তা সংস্থা পিএ মিডিয়ার বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ সেখানকার রাস্তার ক্যামেরার ফুটেজগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের বাসায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

গুলির ঘটনার পর নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আমি সেখানকার চিফ কনস্টেবলের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে চেয়েছি।’ তিনি লিখেছেন, ‘আমি সেখানকার বাসিন্দাদের শান্ত থাকার এবং পুলিশের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’

আল জাজিরার তথ্যমতে, ১৯৯৬ সালে স্কটিশ শহর ডুনব্লেনে লাইসেন্সধারী এক ব্যক্তি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে নিহত হন অন্তত ১৭ জন। এর পরপরই বন্দুক সম্পর্কিত আইন আরও কঠিন করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, রয়টার্স।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.