৩ মিনিটের ব্যবধানে বৃদ্ধাকে দুইবার টিকা পুশ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার শেখ সায়রা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন মিনিটের ব্যবধানে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে করোনার দুই ডোজ টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই বৃদ্ধার নাম মমতাজ বেগম (৬৫)। তিনি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেদগ্রাম ফায়ার সার্ভিস রোডের বাসিন্দা।

মমতাজ বেগম জানান, এক মাস আগে তিনি প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। আজ বেলা ১১টায় তিনি দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে শেখ সায়রা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রের লাইনে দাঁড়ান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে টিকার কার্ড নিয়ে তিনি নির্ধারিত মহিলা কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি একটি বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় সিরিয়ালে মমতাজ বেগমের আগে আরও চারজন নারী ছিলেন। তাদের টিকা দেওয়ার পর মমতাজ বেগমের ডান হাতে টিকা দেওয়া হয়।

মমতাজ বেগম বলেন, টিকা দেওয়ার পর একটু মাথা ঘুরছিল। তাই টিকা দেওয়ার স্থানটি চেপে ধরে ওই কক্ষের বেঞ্চে বসেছিলাম। ২ থেকে ৩ মিনিট পরে অন্য একজন নার্স এসে আমাকে হাত সরাতে বলে। আমি তাদের বলেছিলাম আমি তো একটু আগে একবার টিকা নিলাম। এবার কি দুইটা নিতে হবে? কিন্তু আমার কথা পুরোপুরি না শুনেই টিকা দিয়ে দিল। এরপর আমি আবার বললাম, আমাকে আবার টিকা দেওয়া হলো কেন?

এরপর সেখানকার একজন নার্স তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনাকে কি আজ টিকা দিয়েছিলাম?’ এ বিষয়ে কর্তব্যরত ওই নার্সের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুজাত আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, দুবার টিকা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়টা শুনেছি। আমি গোপালগঞ্জ সদরে ছিলাম না, মুকসুদপুর উপজেলায় গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা বলতে পারবেন।

জানতে চাইলে সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাকিবুর রহমান জানান, ঘটনাটি জানার পর টিকা নেওয়া ওই বৃদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার ডান হাতে সিরিঞ্জ পুশের দুটি দাগ পাওয়া গেছে। টিকাপ্রদানকারী ওই নার্সের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন বলে জানান।

সাকিবুর রহমান বলেন, নার্স আমাকে জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা হাত বের করে বেঞ্চে বসেছিলেন। তাই সেখানকার কর্তব্যরত নার্সরা ভেবেছিলেন ওই বৃদ্ধা টিকা নেবেন। তবে দ্বিতীয়বার টিকা দিতে গেলে ওই বৃদ্ধা নার্সকে একবার টিকা নেওয়ার বিষয়টি জানানোর পর তখন আর টিকা দেওয়া হয়নি, শুধু সুইয়ের খোঁচা লেগেছে। তারপরও আমি ওই বৃদ্ধাকে আমার মোবাইল নম্বর দিয়েছি। কোনো ধরনের সমস্যা হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.