করোনায় বিশ্বে একদিনে মৃত আরো ১০ হাজার

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াল থাকায় স্থবিরতা বিরাজ করছে বিশ্বজুড়ে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এখনো বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন হাজারো মানুষ। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ২০ কোটি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে সোয়া ৪৩ লাখের।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩১ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৫ জনের। গত একদিনে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৮ হাজার ৫০৬ জন। একই সময়ে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৭৮ জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৮ কোটি ৩৮ লাখের বেশি মানুষ। এখন করোনা রোগী রয়েছেন এক কোটি ৬৫ লাখের বেশি। এদের মধ্যে এক লাখের বেশি রোগীর অবস্থা গুরুতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৭০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৯২ হাজারের বেশি মানুষের। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬২ জনের।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৪৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৮১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ ১৮ হাজার ৮২১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬১৯ জনের।

এদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৮৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ২৪৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯০ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৬৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৩১৬ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৯ হাজার ১৮৩ জন।

এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৯ জন, রাশিয়ায় ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ২৮৮ জন, যুক্তরাজ্যে ৬১ লাখ ১৭ হাজার ৫৪০ জন, ইতালিতে ৪৪ লাখ ৬ হাজার ২৪১ জন, তুরস্কে ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ৮৬৮ জন, স্পেনে ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৫০ জন, জার্মানিতে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৩৩২ জন এবং মেক্সিকোতে ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৩৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১২ হাজার ৩৫৬ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৪২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৫০৩ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ২৭৩ জন, তুরস্কে ৫২ হাজার ৪৩৭ জন, স্পেনে ৮২ হাজার ২২৭ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ৩১২ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৯০ জন মারা গেছেন।

তালিকায় ২৬ নম্বরে থাকা বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ জনের এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ১৬১ জনের। এখন করোনা রোগী রয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৯৯ জন। এদের মধ্যে ১৪৩৪ জনের অবস্থা গুরুতর।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জোরকদমে চলছে করোনার টিকাদান। এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার বেশিরভাগকে টিকা দিয়ে ফেলেছে। টিকা দেয়ার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিথিল করা হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। এছাড়া যেসব দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে সেসব দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.