পণ্য পরিবহনে প্রতিবন্ধকতায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। এর ফলে নিত্যপণ্য পরিবহনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পণ্য পরিবহনে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব কারণে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

গত জুন মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ হয়েছে। এর আগের মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া জুন মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে।

বিবিএস মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, লকডাউনে পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। মূলত এ কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুন মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুগ্ধ জাতীয় ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর মূল্যস্ফীতি জুন মাসে বেড়েছে।

বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করলে দেখা গেছে, জুন মাসে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মুল্যস্ফীতির হার ঊর্ধমুখী হয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.