ছক্কা মারার পরের বলে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ

প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিচেল স্টার্কের মিডল অ্যান্ড লেগ স্টাম্পে ফেলা বল ফ্লিক করে ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের রানের খাতা খোলেন নাঈম শেখ। ওই ওভারে আর কোন রান না এলেও দ্বিতীয় ওভারে জশ হ্যাজেলউডের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি সৌম্য সরকার।

পাওয়ার প্লে চলাকালীন তৃতীয় ওভারেই ম্যাথু ওয়েড বল তুলে দেন অ্যাডাম জাম্পাকে। সেই ওভারে এক বাউন্ডারি সহ ৬ রান দেন তিনি। কিন্তু চতুর্থ ওভারের প্রথম দুই বলে বাউন্সে সৌম্যকে নাকাল করার চেষ্টা করেন হ্যাজেলউড। যার ফল এই পেসার পান তৃতীয় বলে। স্টাম্পের লাইন ছেঁড়ে হ্যাজেলউডকে খেলতে গেলে বুক বরাবর করা বলে ইনসাইড এজে হল্ড হন সৌম্য। ৯ বলে ২ রান করেন তিনি।

এরপর ক্রিজে নেমে প্রথম বলেই ২ রান নেন সাকিব। পঞ্চম ওভারে ওয়েড আবারও বোলিংয়ে নিয়ে আসেন স্টার্ককে। কিন্তু ওভারের দ্বিতীয় বলে আবারও ডিপ কভার পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান নাইম। এরপর পঞ্চম বলে নেন সিঙ্গেল।

পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে চতুর্থ বোলার হিসেবে অ্যান্ড্রু টাইকে নিয়ে আসেন ওয়েড। ওভারের তৃতীয় বলে এই পেসারের বাউন্সারে পুল করে বাউন্ডারি হাঁকান নাঈম। পরের বলে নেন ২ রান। ওভারের শেষ বলে আসে সিঙ্গেল।

সপ্তম ওভারে আবারও জ্যাম্পাকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন ওয়েড। ওভারের প্রথম ৫ বলে মাত্র ৪ রান দেয়া এই লেগ স্পিনারকে শেষ বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন নাঈম। জ্যাম্পার ফুল লেন্থে ফেলা বলে বোল্ড হয়ে ২৯ বলে ৩০ রান করে ফেরেন তিনি। অষ্টম ওভারে অ্যাস্টন অ্যাগারের বিপক্ষে ৪ রান নেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে জাম্পাকে সোজা উড়িয়ে চার মারেন সাকিব। পরের বল এজ হয়ে স্লিপের সাইড দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারিতে। সেই ওভারে আসে ১০ রান।

দশম ওভারের তৃতীয় বলে স্লিপে অ্যাস্টন টার্নারের হাতে জীবন পান মাহমুদউল্লাহ। সে সময় তার রান ছিল ৫। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তোলে ৫৮ রান। ১২তম ওভারের প্রথম বলেই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ছক্কার মারার বলের বলে আবারও তুলে মারতে গিয়ে ময়সেস হেনরিকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। হ্যাজেেউডের বলে ফেরা মাহমুদউল্লাহ করেছেন ২০ বলে ২০ রান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.