তেলের ট্যাঙ্কারে হামলা, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা চরমে

এমনিতেই ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক খারাপ, তার উপর তেলের ট্যাঙ্কারে আক্রমণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের অভিযোগ, ইরানই এই হামলা করেছে। কিন্তু হামলার কথা মানতে চায়নি তেহরান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে এই হামলা হয়। ট্যাঙ্কারটি ম্যানেজ করে জোডিয়াক মেরিটাইম। জোডিয়াকের মালিক ইসরায়েলের ধনকুবের আয়াল ওফার।

বেনেট বলেছেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য আমাদের কাছে আছে। আমাদের আশা, বিশ্বের দেশগুলো ইরানকে স্পষ্টভাবে বলবে, তারা গুরুতর অন্যায় করেছে। আমরা আমাদের মতো করে ইরানকে বার্তা পাঠাব।’

আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য এই ঘটনার জন্য ইরানকেই দায়ী করেছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডমিনিক রাব বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আক্রমণ করা হয়েছে। ইরান আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে। তিনি বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট ব্লিংকেন বলেছেন, ‘আমেরিকা মনে করে, ইরানই এই আক্রমণের পিছনে আছে।’

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা উচিত নয়। আর ইরানের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এই প্রথম করা হচ্ছে না। নিজেদের রক্ষা করতে, জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইরান বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করবে না।’

ইরানের সরকারি ওয়েবসাইট আল-আলামের রিপোর্ট বলছে, ইসরায়েল সিরিয়ায় যে আক্রমণ করছে, তার জবাব দিতেই এই হামলা করা হয়েছে।

মেরিটাইম সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স সংস্থা ড্রাইঅ্যাড গ্লোবাল জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিয়ে পাঁচবার আক্রান্ত হলো ইসরায়েলের জাহাজ।

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে যখন বিশ্বের শক্তিধর বেশ কয়েকটি দেশ আলোচনায় বসবে, তখনই এই ঘটনা ঘটল। ইসরায়েল এই চুক্তির বিপক্ষে। তারা চায়, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কাটছাঁট করুক। তারপরেই তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হোক। তেহরান সবসময়ই ইসরায়েলের সমালোচনায় মুখর থাকে। এই পরিস্থিতিতে তেলের ট্যাঙ্কারে আক্রমণের ঘটনা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.