দেশে করোনায় মৃত্যু ২১ হাজার ছাড়াল

করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে এপ্রিল মাসে দেশে হঠাৎ করেই করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে ব্যাপক উল্লম্ফন হয়। মাঝে কিছুদিন শনাক্ত ও মৃত্যু কমলেও আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু-দুটোই বেড়েছে। এর ফলে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৯৮৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ২৮ জুলাই দেশে ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ১৪৮৪৪, ৯৩৬৯, ১৩৮৬২, ১৫২৭১, ১৬২৩০, ১৪৯২৫ ও ১৫১৯২ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৩ হাজার ৪৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪৯ হাজার ৫২৯টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে ৭৮ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৫ জনের। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।

আজ সোমবার (০২ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ১৫৯৮৯ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ১২৮০৩১৭ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ২৪৬ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ২১১৬২ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ১৫৪৮২ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ১১০৮৭৪৮ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪৬ জন মারা গেছেন। এর আগে গত ২৮ জুলাই দেশে করোনায় ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ২৩১, ২১৮, ২১২, ২৩৯, ২৩৭, ২৫৮ ও ২৪৭ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৬২ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৫ হাজার ৪৮২ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন দশ লাখ ১১ লাখ ৮ হাজার ৭৪৮ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৬০ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.