সব উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া প্রয়োজন: এফবিসিসিআই

যতো শিগগির সম্ভব দেশের সব রফতানিখাতসহ সকল প্রকার উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, অন্যথায় রফতানিখাতের অর্ডারসমূহ বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সকল প্রকার রফতানি বাণিজ্য। পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি রপ্তানি কার্যক্রমে নিয়োজিত সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কোভিডজনিত বিধি-নিষেধের আওতায় সকল প্রকার শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখায় অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রাণশক্তি উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে সাপ্লাই চেইন (সরবরাহ ব্যবস্থা) সম্পূর্ণভাবে বিঘ্নিত হওয়ার উপক্রম। এতে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আগামীতে পণ্য-সামগ্রী সঠিকভাবে সরবরাহ ও বাজারজাত না হলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে স্বল্প আয়ের ক্রেতারা ভোগান্তির শিকার হবেন। পাশাপাশি রফতানি খাতের উৎপাদন ব্যবস্থা বন্ধ থাকলে সময়মত পরবর্তী রফতানি অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে রফতানি অর্ডার বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় বিদ্যমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রয়েছে এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। যদি উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়, তাহলে অর্থনীতির চলমান গতিধারা ব্যাহত হবে। জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকেও সচল রাখতে উৎপাদন ব্যবস্থাকে সচল রাখা জরুরি। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষাকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে, শিল্প-কারখানাকে বিধি-নিষেধের আওতার বাহিরে রেখে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে হবে।

মো. জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ক্ষুদ্র ও ছোট কারখানাসমূহ বন্ধ রাখায় উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারখানাসমূহ পুনরায় চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। এ অবস্থায় রফতানি ও উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশনসমূহ ও চেম্বারসমূহ শিল্প-কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এফবিসিসিআই-এর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.