‘করোনা আমাকে ভিখারি করেছে’

ভারতের দিল্লির বাসিন্দা অনিল শর্মা। করোনার আগে আর্থিকভাবে মোটামুটি স্বচ্ছল ছিলেন অনিল। কিন্তু ছেলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তার চিকিৎসা খরচ জোগাতে আজ তিনি পথের ভিখারি!

চোখের সামনে ২৪ বছরের তরতাজা যুবক ছেলের করুণ পরিণতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না অনিল। তাই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছেলে সৌরভকে ভর্তি করেন তিনি। কিন্তু গত দুই মাস ধরে ভেন্টিলেশনে থাকা ছেলের চিকিৎসার জন্য সহায় সম্বল সব কিছু বিক্রি করে হাসপাতালে ৫০ হাজার মাকিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪২ লাখ টাকার অধিক।

কেঁদে কেঁদে অনিল শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, করোনার কারণে আজ আমি পথে বসে গেছি। আমার তরতাজা যুবক ছেলেটা আজ ভেন্টিলেশনে। আমার যা কিছু ছিল তা দিয়েই গত দুই মাস ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেছি। এরপরও লাখ লাখ টাকা ঋণ হয়ে গেছে।

নিজের জমানো টাকার পর বন্ধুবান্ধদের কাছ থেকে বিরাট অঙ্ক ধার নেন অনিল। এর পর তিনি ব্যাংক থেকেও ছেলের চিকিৎসার জন্য লোন তোলেন।

এখন তিনি একেবারেই নিঃস্ব। অনলাইনে সাহায্যের হাত পেতেছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য। তার পরও এই বাবা চান তার ছেলে বেঁচে ফিরুক।

সূত্র: আল-জাজিরা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.