নগদ সাড়ে ১৩ হাজার টাকা খেয়ে পালাল হাতি!

খাবারের খোঁজে মাঝে মধ্যেই কৃষকের ক্ষেতে বা বসতিতে হামলা চালায় হাতির পাল। এরপর ক্ষেতের ফসল কিংবা চাল-গম খেয়ে চম্পট দেয়। তবে কখনো শুনেছেন, নগদ টাকা খেয়ে পালিয়েছে হাতি! কিন্তু এমনটাই ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের গুড়িপাড়ের শালিকা গ্রামে। এই অভিযোগ পেয়ে রীতিমতো বিড়ম্বনায় বন দফতরের কর্তারা।

হাতির আক্রমণে কোনও মানুষের মৃত্যু হলে, ঘর বা চাষের ক্ষয়ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু হাতি যদি নগদ টাকা খেয়ে ফেলে তাহলে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া কীভাবে সম্ভব? কীভাবে প্রমাণ করা হবে ক্ষতি? এই বিষয়টিকে ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা গুড়গুড়িপাল থানা এলাকা জুড়ে।

এদিকে অভিযোগে অনড় টাকার মালিক তথা দাবিদার আশালতা দলুই। তার দাবি, মাতাল স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে গমের বস্তার মধ্যে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সেই টাকাই খেয়ে গিয়েছে হাতির পাল।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দলমা থেকে আসা হাতির একটি দল বর্তমানে গুড়গুড়িপাল থানা তথা চাঁদড়া রেঞ্জ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানা গিয়েছে, বুধবার (২১ জুলাই) রাতে ছয়টি হাতির একটি দল গোপগড় বিটের পাঞ্জাশোল জঙ্গল ছেড়ে শালিকা গ্রামে প্রবেশ করে। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মধ্যেই বাদল দলুইয়ের বাড়ি। অভিযোগ উঠেছে, সেই বাড়িরই দেওয়াল ভেঙে মজুত করে রাখা রেশনের চাল ও গমের বস্তা শুঁড় দিয়ে বের করে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে খেয়ে সবকিছু সাবাড় করে দেয় হাতির দল। বনদফতরের কর্তারা খুঁজে পাচ্ছেন না এই সমস্যার সমাধান সূত্র।

এবিষযে এডিএফও বুদ্ধবেদ মণ্ডল বলেন, এধরনের কোনও অভিযোগ এখনও তাদের কাছে আসেনি। কে কি দাবি করেছেন জানি না। হাতির আক্রমণে প্রাণহানি ঘটলে ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। বাড়িঘর ভাঙলে বা চাষ নষ্ট হলেও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। কিন্তু হাতি যদি নগদ টাকা খেয়ে ফেলে তার প্রমাণ কীভাবে পাওয়া যাবে। আপাতত বনদফতর খবর পেয়ে হাতির দলকে শালিকার জঙ্গল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.