‘শ্বশুরবাড়ি থেকে ঈদে দাওয়াত না পাওয়ায়’ স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্ত্রী সাথী খাতুনকে (৩০) পিটিয়ে হত্যার পর ঘরে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফজলু মণ্ডলের বিরুদ্ধে। কোরবানির ঈদে শ্বশুরবাড়ি থেকে দাওয়াত না পাওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে অভিযোগ।

শনিবার (২৪ জুলাই) রাতে উপজেলার ৬ নম্বর সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে সাথীর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি পলাতক বলে জানা গেছে।

সাথী খাতুনের বাবা একই ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামের নজরুল মণ্ডল জানান, তার মেয়ের স্বামী ফজলু ও শ্বশুর বারিক মণ্ডল মাদকাসক্ত। সাথীর সংসারে রয়েছে দুটি সন্তান। বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত তার মেয়েকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে।

তিনি আরও জানান, কোরবানির ঈদে আর্থিক অনটনের কারণে জামাইকে দাওয়াত না দেওয়ার অপরাধে শনিবার দিনে ও রাতে সাথীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর আত্মহত্যার নাটক সাজাতে ঘরের বারান্দায় তার মেয়েকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। রোববার সকাল ৭টার দিকে তিনি তার মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পান। ঘটনার পর পরই তার জামাই ফজলু ও ফজলুর বাবা বারিক মণ্ডলসহ বাড়ির সবাই পলাতক।

ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, সাথী ও তার স্বামী ফজলুর মধ্যে দীর্ঘদিন পারিবারিক অশান্তি ছিল। নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের কালো দাগ ও গলায় রশির চিহৃ পাওয়া যায়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.