২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত-মৃত্যু কমলেও সংক্রমণ হার বেড়েছে

করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে এপ্রিল মাসে দেশে হঠাৎ করেই করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে ব্যাপক উল্লম্ফন হয়। মাঝে কিছুদিন শনাক্ত ও মৃত্যু কমলেও আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু- দুটোই কমেছে। তবে এ সময় বেড়েছে সংক্রমণ হার।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ১৪৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) করোনা শনাক্ত হয় ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের, যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ১২২৩৬, ১২৩৮৩, ১২১৯৮, ১৩৭৬৮, ১১৮৭৪, ৮৭৭২ ও ১১৩২৪ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪১ হাজার ৯৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪৪ হাজার ৯৪১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৭ জনের। মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।

আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ১২১৪৮ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ১০৮৩৯২২ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ১৮৭ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ১৭৪৬৫ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ৮৫৩৬ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ৯১৪৩৪৩ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮৭ জন মারা গেছেন। রোববার (১১ জুলাই) করোনায় মারা যান ২৩০ জন, যা এযাবৎ কালের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ২২৬, ২১০, ২০৩, ২২০, ২৩০, ১৮৫ ও ২১২ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৫ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৮ হাজার ৫৩৬ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ১৪ হাজার ৩৪৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক শুন্য ৩৫ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.