যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদনে খালেদাকে নিয়ে বানোয়াট তথ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে দেওয়া বানোয়াট তথ্য আপত্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদনে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেটা যাচাই-বাছাই না করে দেওয়া হয়েছে। এই বানোয়াট তথ্য আপত্তিকর।

আজ সোমবার (১২ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। আগামী ডিসেম্বর থেকে দু’দিনব্যাপী শান্তি সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় করোনার টিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে করোনার টিকা আনার চেষ্টা করছি। জাপান থেকে শিগগিরই আমরা টিকা পাব বলে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক একটি প্রতিবেদন সম্পর্কে অসন্তোষ ব্যক্ত করার জন্য গতকাল রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তিনি এখন ‘গৃহবন্দি’ রয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে যে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা উল্লেখ করতে ‘গৃহবন্দি’ শব্দগুলোর ব্যবহার একটি বড় ধরনের বিভ্রান্তি।

এতে আরও বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি রিপোর্ট ২০২০-এর বাংলাদেশ অধ্যায়ে উল্লেখিত ইস্যুগুলোর ব্যাপারে সরকারের মনোভাব ও অসন্তোষ ব্যক্ত করার জন্য ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে তলব করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র দফতর ব্রিটিশ দূতকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, খালেদা জিয়া তার বাড়িতে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না—এই শর্তে সরকার ২০২০ সালের মার্চ মাসে তার সাজা স্থগিত করে তাকে ‘মুক্তি’ দেয়।

এতে আরও বলা হয়, খালেদা জিয়াকে তার ভাইয়ের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডের একটি ধারায় শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দূতকে আরও অবহিত করা হয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২১ সালের মার্চ মাসে দুইবার তার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে যে, এ ধরনের আইনি বিষয়ে যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তির ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.