ফেরিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ি-যাত্রী পরিবহন বন্ধ

ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)৷

আজ শুক্রবার (০৯ জুলাই) এক বিজ্ঞতিতে বলা হয়, ৯ জুলাই থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা যাবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানের গাড়ি পারাপার করা হবে। ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন আজকে থেকে বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসছে। মানুষের মধ্যে শহর ছাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তো রয়েছেই। এতদিন কিছু গাড়িকে হয়তো অ্যালাউ করা হতো, মানুষও পার হতো। এটা যাতে না হয় আজকে থেকে তা কঠোরভাবে মানা হবে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২১টি শর্ত দেওয়া হয়। শর্ত অনুযায়ী, এ সময়ে জরুরি সেবা দেওয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসররকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা। জনসমাগম হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না এই সময়ে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.