হেসেখেলেই সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড

অনেকটা হেসেখেলেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শিরোপা নিশ্চিত করলো ইংল্যান্ড। মূলত প্রথম ইনিংসেই ফল নির্ধারণ করে ফেলেছিলেন দুই বাঁহাতি পেসার স্যাম কুরান ও ডেভিড উইলি। পরে বাকি কাজটা সারলেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। যার সুবাদে এলো ৮ উইকেটের জয়। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজের শিরোপা নিশ্চিত হলো ইংল্যান্ডের।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজেও আধিপত্য বজায় রেখে সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে আগে ব্যাট করে ২৪১ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস। জবাবে তিন ফিফটিতে ভর করে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৪২ বল আগেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে ইংলিশরা।

রান তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকদের ঝড়ো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং জেসন রয়। ইনিংসের ১৩তম ওভারে দলীয় ৭৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরার আগে ২৯ রান করেন বেয়ারস্টো। তবে ফিফটি তুলে নিতে ভুল হয়নি জেসন রয়ের।

আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে যখন সেঞ্চুরির দিকে পা বাড়াচ্ছিলেন রয়, তখনই তাকে থামান চামিকা করুনারাত্নে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ১০ চারের মারে খেলা ৫২ বলে ৬০ রানের ইনিংসের। দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরলেও দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান জো রুট ও ইয়ন মরগ্যান সেই ভুল করেননি।

অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রান যোগ করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান রুট ও মরগ্যান। দুজনই রান তোলেন পাল্লা দিয়ে। রুট ৮৭ বলে ৬৮ ও মরগ্যান ৮৩ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইংলিশ পেসার স্যাম কুরানের তোপে পড়ে সফরকারিরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তিন বলের ব্যবধানে দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন তিনি।

অধিনায়ক কুশল পেরেরা (০) আর ওয়ান ডাউন আভিষ্কা ফার্নান্ডো (২)-দুজনই হন এলবিডব্লিউ। এরপর চতুর্থ ওভারে শ্রীলঙ্কার ১২ রানের মাথায় পাথুম নিশাঙ্কাকে (৫) বোল্ড করেন বাঁহাতি স্যাম কুরান।

লঙ্কানদের দুর্দশা আরও ঘনীভূত হয় চারিথ আসালাঙ্কা (৩) ডেভিড উইলিকে উইকেট দিয়ে আসলে। ২১ রানে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে ৬৫ আর দাসুন শানাকার সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৭৮ রানের দুটি জুটিতে দলকে লড়াইয়ে ফেরান ধনঞ্জয়া। হাসারাঙ্গা ২৬ রানে সাজঘরে ফেরেন।

দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় আউট হন ধনঞ্জয়াও। ১৩ বাউন্ডারিতে বল সমান ৯১ রান করে তিনি ফেরার পর হাল ধরে দলকে দুইশ পার করে দেন শানাকা। ৬৭ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস বেরিয়ে আসে তার উইলো থেকে।

তারপর চামিথা করুনারত্নের ২১, বিনুরা ফার্নান্ডোর ১৭ আর দুশমন্ত চামিরার অপরাজিত ১৪ রানে ৫০ ওভার পার করে ৯ উইকেটে ২৪১ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল স্যাম কুরান। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪৮ রানে ৫টি উইকেট নেন এই পেসার। আরেক পেসার ডেভিড উইলি ৬৪ রান খরচ করে তুলে নেন ৪ উইকেট।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.