করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও প্রাণহানিতে শীর্ষে ব্রাজিল

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বজুড়ে কমেছে। তবে আগের দিনের তুলনায় উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে ভারত রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানেই।

এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৩৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৭০ হাজার।

আজ শুক্রবার (০২ জুলাই) সকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৪০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় সাড়ে চারশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ৬৩১ জনে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৪ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৩৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮৪ জনে।

করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৭৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২০ হাজার ৬৪৫ জন মারা গেছেন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৪৩ জন এবং নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ১৪০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৮৬ লাখ ২২ হাজার ৩০৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ১৮৯ জনের।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.