রাবিতে ভিসির বাসার সামনে ‘অবৈধ’ নিয়োগপ্রাপ্তদের অবস্থান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে নিয়োগপ্রাপ্তরা চাকরিতে যোগদানের দাবিতে ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

মঙ্গলবার রাত ১১টার পর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন। আজ বুধবার (২৩ জুন) বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিন্ডিকেট সভা ঠেকাতে সাবেক উপাচার্যের শেষ কর্মদিবসে নিয়োগপ্রাপ্তরা একই জায়গায় অবস্থান নেন। পরে বাধার মুখে রাত সাড়ে আটটার দিকে রুটিন উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা সাংবাদিকদের বিফ্রিংয়ে বলেন, বাধার মুখে তারা সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করেছেন। পরে নিয়োগপ্রাপ্তরা সেখান থেকে উঠে যান। আবার রাতে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সেখানে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাত ১১টা থেকে এখন পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদানের দাবিতে গতকাল রাতে ভিসির বাসার সামনে অবস্থান করছেন। তারা বিছানা পেতে কেউ শুয়ে আছেন, কেউ বসে আছেন। সকালে অবস্থানকারীদের সংখ্যা একটু কম দেখা যায়। তবে অন্যরা আশপাশেই আছেন বলে অবস্থানকারীদের দাবি।

আন্দোলনকারী ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান সুমন বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য সিন্ডিকেট আটকানো নয়। নিজেদের পদায়নের দাবিতে আন্দোলন করছি। যতদিন পর্যন্ত আমরা যোগদান করতে না পারব ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাব।

মঙ্গলবার রাতে রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, মন্ত্রণালয় এটাকে অবৈধ ঘোষণা করে একটি তদন্ত কমিটিও করেছে। মন্ত্রণালয় তথা সরকারের নির্দেশ ছাড়া আমার পক্ষে তাদের দাবি মানা সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মে রাবি উপাচার্য হিসেবে শেষ কার্যদিবস ছিল অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের। মেয়াদের শেষ দিনেই তিনি অ্যাডহকে নিয়োগ দেন ১৪১ জনকে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, স্ত্রী ও স্বজন, ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন।

‘বিতর্কিত’ এই নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে ওইদিন সন্ধ্যায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করে গত ২৩ মে তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। এতে এ নিয়োগকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিটি এ নিয়োগে বিদায়ী উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.