বিএমআরসি’র নতুন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শারফুদ্দিন 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)-এর সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দেশের বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ অত্যন্ত সফলতার সাথে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর সাবেক মহাসচিব এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), প্রিভেনটিভ এন্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডীন ও চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি গত ২৯ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার খায়েরহাটে।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) স্বীকৃত তাঁর ১০০টি জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক প্রকাশনা রয়েছে। বাংলায় চক্ষু বিষয়ক ৩টি ও ইংরেজীতে ২টি বই রয়েছে। তিনি ২৭তম APAO কংগ্রেস, বুসান, কোরিয়া ডিষ্টিংগুইসড সার্ভিস এ্যাওয়ার্ড ২০১২ অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক সম্মাননার মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট পরিষেবা পুরস্কার, অন্ধত্ব প্রতিরোধ সম্মাননা, কমিউনিটি চক্ষুবিদ্যায় অসাধারণ কাজের জন্য পুরস্কার (এসএও) ২০১৮, স্বর্ণ পুরস্কার সিসিসি কলকাতা ২০১৯, এআইওসি অ্যাওয়ার্ড গুরুগ্রাম ২০২০।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৯৩ সালে সেন্ট্রাল স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-এর প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন। তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ইসি সদস্য। এক-এগারো পরবর্তী সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির লক্ষ্যে সকল আন্দোলন কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে তৎকালীন সরকারের হয়রানির শিকার হন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.