হুইপ শামসুলসহ তিন এমপির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চলাকালে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীসহ ৩ জন সংসদ সদস্যের (এমপি) বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তালিকায় বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাসহ আরও ৩ জন রয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। গত ১৩ জুন আদালত থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আন্য যে দুজন সংসদ সদস্যের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তারা হচ্ছেন-তাঁরা হলেন- সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এদের পাশাপাশি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান সাজ্জাদুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই এবং ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বিদেশ যাওয়ার উপরেও আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন বরাবর পাঠানো চিঠিতে এই ছয় জনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় অনুরোধ জানিয়েছিল দুদক। তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করে দেশত্যাগে বা বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় নিম্ন আদালতের অনুমতি নিতে হচ্ছে সংস্থাটিকে। এরই ধারাবাহিকতায় দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিলেন আদালত।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এর পরপরই ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এরইমধ্যে ২৩টির মতো মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইভাবে ১২টি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এসব মামলায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদও জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেক আসামিকে।

কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধান ও তদন্তের দায়িত্ব পালন করছে। টিমের অপর সদস্যরা হলেন- দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাহউদ্দিন, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.