পাবনায় সেই দুই আ.লীগ নেতার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল
পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের মহড়ার ঘটনায় প্রদর্শিত দুটি শটগানের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার বিকেলে লাইসেন্স বাতিলের পর বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বেলা ৩টার দিকে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, গণপূর্ত ভবনে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়া লাইসেন্সধারী দুই ব্যক্তি অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। জেলা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনে অস্ত্র দুটির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই লাইসেন্স দুটি বাতিল করা হলো।
অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়া ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন- পাবনার পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু। ১৩ জুন পুলিশের নির্দেশে তারা ব্যবহৃত দুটি শটগান থানায় জমা দেন।
এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কিছু শর্ত রয়েছে। গণপূর্ত ভবনে মহড়া দেওয়া ব্যক্তিরা সেই শর্ত অমান্য করেছেন। এ ঘটনায় গণপূর্ত বিভাগ কোনো অভিযোগ না দিলেও জেলা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেছে। তদন্তে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় লাইসেন্স দুটি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন।
তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান এবং কিছুক্ষণ পর তারা বের হয়ে যান। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন হলে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ করে। এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে ফারুক হোসেন ও এম আর খান মামুনকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়ে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
এদিকে, একই অভিযোগে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন ওরফে শেখ লালুকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে পাবনা জেলা যুবলীগ।
অর্থসূচক/কেএসআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.