ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করলো হোয়াটসঅ্যাপ

ভারতের নতুন ইন্টারনেট আইন রুখতে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে আজ বুধবার মামলা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন সে আইনে প্রয়োজনে সরকারকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের বার্তায় নজরদারির সুযোগ করে দেওয়ার বিধান আছে। এটি সংবিধানের গোপনীয়তার অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে সেটি বাতিলের আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ভারত সরকারের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতির একটি শর্তে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে মেসেজের উৎস ট্র্যাক করতে হবে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মকে। হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই নীতি মানতে হলে প্রতিটি মেসেজের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাখতে হবে।

হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র বলেন, মেসেজিং অ্যাপে চ্যাট ট্রেস করা হল আমাদের হোয়াটস্যাপে সেন্ড করা প্রতিটি মেসেজের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাখতে বলার সমান। এটি করলে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বলে আর কিছু থাকবে না। ফলে জনগণের গোপনীয়তার অধিকার বিঘ্নিত হবে।

তিনি বলেন, এখন ভারত সরকারের নতুন নিয়ম মানতে হলে হোয়াটসঅ্যাপকে তথ্য গ্রহীতা এবং তথ্য দাতা- দুই পক্ষের গোপনীয়তাই ভাঙতে হবে। ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসির নিরাপত্তা রক্ষা করা জরুরি। নতুন এই নিয়মে গ্রাহকদের গোপনীয়তার সুরক্ষা থাকবে না।

ভারতের সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী জীবনের অধিকারের মতোই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখাও একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে।

এ মামলার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফেসবুক, অ্যালফাবেট ও টুইটারের বিরোধের মাত্রা আরও বাড়ল।

সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.