শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে ১৩ জুন
আগামী ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আজ বুধবার (২৬ মে) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী ১২ আগামী জুন পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিভিতে দেখছি ১২ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়লো নিউজ আসছে। আবারও বলছি ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কারো ছয় দিন হবে কারো একদিন দিন হবে। যারা ২০২১ সালে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা দেবে তারা সপ্তাহে ছয় দিন এবং অন্য ক্লাসগুলোর একদিন ক্লাস হবে এবং পর্যায়ক্রমে এটা বাড়ানো হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খুব শিগগিরই আলোচনা করে তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে কত দ্রুত খুলে দিতে পারি, আমরা সেই চেষ্টা করব।
দীপু মনি বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে আমরা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েই কাজ করছি। করোনা মোকাবিলায় পরামর্শক কমিটি রয়েছে তাদের সাথে আলোচনা করেই কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। সংক্রমণের হার শতকরা কত শতাংশ নেমে নেমে আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব। এখন আমরা দেখছি ৫ শতাংশ উপরে রয়েছে। আমাদেরকে এসব বিষয় মাথায় রেখে বিজ্ঞানের মধ্য থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনার পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছেন সে তথ্য ইউজিসির কাছে চেয়েছি। তবে যাদের বয়স চল্লিশের বেশি, বেশিভাগই টিকা গ্রহণ করেছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। যেহেতু শিক্ষার্থীদের বয়স ৪০-এর কম তাদেরকে বিশেষ বিবেচনায় টিকা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। নতুন টিকা আসলেই তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন। এক্ষেত্রে আবাসিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ সংখ্যাটা যেহেতু বিশাল নয়, তাই দ্রুত ওদেরকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ যদি উন্নতি হয় তবে জুনের মধ্যে হয়তো স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি নির্ভর করতে হবে করোনা টিকার ওপর। অঞ্চলভিত্তিক খুলে দেওয়ার ব্যাপারে অনেকেই মতামত দিচ্ছে এটিও আমাদের মাথায় আছে।
এদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, আমরা স্কুলগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পঞ্চম শ্রেণিগুলো সপ্তাহে ছয়দিন এবং বাকিগুলো একদিন করে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন আমরাও (প্রাথমিক) ১৩ জুন থেকে স্কুলগুলো খোলার চেষ্টা করব।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন রেডিও এবং সংসদ টিভিতে পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অর্থসূচক/কেএসআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.